চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কর্নার ও স্বাধীনতা মঞ্চ উদ্বোধনে জনসমুদ্রে রুপান্তরিত

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নান্দনিক কর্ণার অনুকরণীয়- মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি

রাজু দাশ, চকরিয়া •


কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কর্নার ও স্বাধীনতা মঞ্চের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১টার দিকে উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কর্নার এর পর বিকেলে চকরিয়া সরকারী কলেজ মাঠে নবনির্মিত ‘স্বাধীনতা মঞ্চ উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে সরকারী কলেজ মাঠে জনসভায় আয়োজন করা হয়। এতে সকাল থেকে নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে স্লোগানসহকারে আসতে থাকে জনতা। দুপরের পরই জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও
কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) ফোরকান আহমেদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পৌর মেয়র আলমগীর চৌধূরী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লিটু সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন, চকরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির প্রমুখ।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলমের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু সেই ৭ই মার্চের ভাষণ আজ জাতিসঘের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি এদেশের জন্য বাঙালি জাতির জন্য বিরাট একটি অর্জন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির যে চর্চা করে আসছে, তা পুনরায় করার কোন সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের ইতিহাসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছে এদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাংলাদেশএগিয়ে যাবে। উন্নয়নের অগ্রগতি যত হবে মানুষের আস্থা শেখ হাসিনার উপর ততই বাড়বে, নৌকার প্রতি আস্থা বাড়বে। আওয়ামী লীগকে আর কোনদিন বৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না বলেই তারা ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তারা দেশে ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করার উপায় নেই। অনেকেই বলছেন এটা কে এতদিন পরে বিএনপি’র বোধ উদয় হয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুলের কাছে আমার প্রশ্ন । এতদিন পরে এটা কি আপনাদের বোধ উদয় হয়েছে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কোনো অবস্থাতেই সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানান।